1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
-:একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি:- পবিত্র ঈদ – এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে গোপালগঞ্জে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বরগুনায় তুচ্ছ ঘটনায় আহত-২ ” খাবারের ভাতে প্রসাব করলেন প্রতিপক্ষ পুলিশ লাইন্স একাডেমি এডুকেশন কর্তৃক পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন কালাই কাঁটাহার দাখিল মাদ্রাসায় মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে, বন্দর থানার গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রীকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি ঘাতক স্বামী কাজী মোঃ পেয়ার আহম্মদ প্রকাশ রিপন গ্রেফতার।  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র পৃথক অভিযানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি কুখ্যাত  সন্ত্রাসী মোঃ ইসতিয়াক আলী ওয়াছিফ গ্রেফতার। বটিয়াঘাটায় মামলাবাজ কালাম মাস্টারের ষড়যন্ত্রের শিকার কেয়ারটেকার সরো গত ১৪-০৯-২৪প্রকাশিত একটি দৈনিকে বাড়ি দখলের যুবদল নেতার শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১০ জন যাত্রী

ডিবি হারুন কর্তৃক নির্যাতনের শিকার শ্রীপুর পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ১২ জন দেখেছেন

আশরাফুল আলম সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি:

সাত বছর আগে গাজীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন জুয়েলারি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বেপারি। সেই কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে ওঠেন তিনি। শিরদাঁড়া দিয়ে বয়ে যায় শীতল বাতাস। ভেতরে অস্থিরতা পেয়ে বসে, হাউমাউ করে কেঁদেও মেলে না স্বস্তি।

বৃহস্পতিবার দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান, অনেক চেষ্টা করেও তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুনের নির্যাতনের কথা ভুলতে পারছেন না। আঙুল দেখলে, অমাবস্যায় যন্ত্রণা শুরু হলে, সেই বিভীষিকা পেয়ে বসে। স্বাভাবিক থাকতে পারেন না।

বিল্লাল হোসেন বেপারী ভাষ্যে, শুধু টাকার লোভে হারুন তাঁর ওপর নিষ্ঠুর হলো। নির্দেশ দিয়ে ডিবি সদস্যদের মাধ্যমে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চার আঙুলের নখ উপড়ে ফেলে। থেঁতলে দেওয়া আঙুলের ভেতরে সুই ঢুকিয়ে ও প্লাস দিয়ে তুলে ফেলে দাঁত। পায়ের পাতায় রডথেরাপি দেয়। বাঁচাতে স্বজন দেড় কোটি টাকা দিলেও রেহাই মেলেনি।
বিল্লাল হোসেন বেপারী গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া চন্নাপাড়া গ্রামের লিয়াকত আলী বেপারির ছেলে। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত। এ কারণেই ২০১৭ সালের ২৮ মে দুপুরে বিল্লাল হোসেন বেপারী চন্নাপাড়ার ডুপ্লেক্স বাড়িতে পিস্তল হাতে ঢোকে সাদা পোশাকের কয়েকজন। কর্মকর্তা ডেরিক কুইয়ার নেতৃত্বে ডিবি সদস্যরা তল্লাশির নামে বাড়ি তছনছ করে। প্রতিবাদ করলে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে জানায়, তুই কি জানিস, গাজীপুরের বাপ এসপি হারুন! তিনি তোকে নিয়ে যেতে বলেছেন।

বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান, খবর পেয়ে বাড়ির সামনে শত শত মানুষ জড়ো হলেও তোয়াক্কা করেনি। গাড়িতে তুলে মাওনা চৌরাস্তা পার হতেই চোখ বেঁধে ফেলে জানতে চায়– আমি হেফাজতের সমাবেশে কত টাকা খরচ করেছি? না বলা মাত্র ডান হাতের মধ্যমার নখ তুলে ফেলে। টের পাচ্ছি রক্তে জামা ভিজে যাচ্ছে। তখন থেঁতলে
দেওয়া আঙুলে সুই ঢুকালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর পায়ে রড দিয়ে বেদম পেটায়। তখনও চোখ বাঁধা ছিল। পরিবারের কথা মনে পড়ছিল। আল্লাহ, তোমার জাহান্নামের শাস্তি তাহলে কতটা ভয়াবহ– এই বলে সান্ত্বনা খুঁজছিলাম।
তিনি বলেন, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবারও গাড়িতে তুলে দুই পায়ের পাতায় পেটায়। দুই হাতের আরও তিন আঙুলের নখ তুলে ফেলে। এভাবে ১৮ ঘণ্টা নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে ৫ কোটি টাকা দাবি করে এবং এক স্বজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেয়। এ সময় তাদের শেখানো কথা বলি, ‘আমাকে বাঁচাও, ৫ কোটি টাকার ব্যবস্থা করো।’

বিল্লাল হোসেন বেপারি বলেন, ‘এ পর্যায়ে চোখ খুলে দিলে বুঝতে পারলাম রাত ৩টার মতো বাজে। এবার আমাকে গাজীপুর পুলিশ লাইন্সে নিয়ে মসজিদের ইমামকে ঘুম থেকে তোলা হলো। তওবা পড়াতে বললেও আমার শরীর অপবিত্র দেখে তিনি রাজি হলেন না। সেখান থেকে গাড়িতে তুলে একটি বনে নিয়ে হাতকড়া পরা অবস্থায় দৌড় দিতে বলে। আমি তাদের বলি, দৌড় দেব না। দাঁড়িয়ে আছে, এভাবেই
আমার বুকে গুলি করেন। এ সময় কল আসে ওই ডিবি কর্মকর্তার ফোনে। পরে তারা ফের গাড়িতে তুলে ছোটে।’
তিনি বলেন, পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ৫০ লাখ টাকা জোগাড় করে ডিবি অফিসে এক কর্মকর্তাকে দেন। ছেড়ে দিতে চাইলেও কয়েক মিনিট পর পুরোনো জঙ্গি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে ডিবির আয়নাঘরে আমার সামনে আরেক ব্যক্তিকে বেদম মারধর করা দেখে আমি ভড়কে যাই এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তারা সুযোগ দিলে পরিবারকে বলি, আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচাও। যা সম্পত্তি আছে, সব বিক্রি করে হলেও টাকা দেও। রমজান মাস চলছিল। রোজা অবস্থায় নির্যাতনের পর আমাকে এসপি হারুনের সামনে হাজির করা হয়। তাঁর প্রথম প্রশ্ন ছিল, হেফাজতের সমাবেশে কত টাকা ঢেলেছি? না-সূচক জবাব দিলে ভয় দেখিয়ে তিনি বলেন, আমার অফিসাররা যা বলে তাই কর। পরে স্বজনরা দুই দফায় ডিবিকে আরও ৮০ লাখ টাকা দেয়। রিমান্ডে অবশ্য কোনো নির্যাতন করেনি। পরে ৪১ দিন জেলে থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হই।
বিল্লাল হোসেন বেপারী বলেন, বিএনপি করার কারণে হারুন আমার মতো অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন করেছে। আমি তার মুখোমুখি হয়ে বলতে চাই– কোথায় গেল তোমার টাকা? নির্যাতন আল্লাহ দেখেছেন। তিনি সর্বদা ন্যায়বিচারক

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......